অন্য বসন্ত পর্ব – ০৯

আশফাক আমার দিকে এগিয়ে আসল ।
এসে কিছু না বলে আমার বুকের পাশ টাতে হাত দিয়ে বলল, দিব্য ভাই । হাসলেন কেন ?
এমনি । আমি আমতা আমতা করে বললাম । একটু ভয়ও পেলাম ।
এসব মেয়েলি ছেলেরা যেখানে সেখানে সিন ক্রিয়েট করতে ওস্তাদ ।
আশফাক কিছু বলল না । মুখ গোমড়া করে রইল ।
মিলা ব্যপারতা বুঝতে পেরে আশফাকের কাছে এসে বলল, তোমার পাঞ্জাবীটা বেশ । আমাকে এমন একটা ডিজাইন করে দেবে !
আশফাকের মুখে এবার একটু হাসি ফুটল ।
ও রিয়েলি ! মিলা আপু ! একমাত্র তুমিই আমার ফ্যাশন ভাবনা বুঝতে পারো ।
তোমার সাথে আমার চিন্তা ভাবনা অনেক মিলে ।
সে মিলাকে নিয়ে রুমের এক কোনায় গিয়ে বসল ।
দুজন মিলে গল্প করছে । আর মাঝে মাঝে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে ।
দেখে মনে হচ্ছে দুজন বান্ধবী একজন আরেকজনের সাথে সুখ দুখের আলাপ করছে ।

আমি মনে মনে বললাম, থ্যাংকস মিলা । এবারের যাত্রায় আমায় বাঁচিয়ে দিলি ।
এমন সময় বস ঢুকল । হেই দিব্য । কখন আসছ ? সরি আমার একটু লেইট হয়ে গেল ।
আমি হাসলাম । বললাম, ওকে বস ।
বস আমার কাছে এসে বললেন, শুন । আজ আমার বন্ধু আলিফও মিটিং এ আসবে । ও একটা ফ্যাশন ম্যাগাজিন এর এডিটর । ওর পরামর্শ আমাদের কাজে লাগবে ।
আমি বললাম, ইয়েস বস ।

ঘড়িতে এখন ১২ টা বাজে ।
মিটিং রুমে মোট ৭ জন আমরা ।
বস, আমি, মিলা, শিমুল ভাই, আশফাক, রুমি আপু এবং বসের বন্ধু আলিফ ভাই ।
একটা গোল টেবিলের চারপাশে বসেছি আমরা ।
আমার এক পাশে মিলা আর এক পাশে শিমুল ভাই ।
আমার ঠিক সামনাসামনি বসেছে আলিফ ভাই । আলিফ ভাইয়ার এক পাশে আশফাক আর এক পাশে বস । বসের সাথে রুমি আপু ।
বস আলিফ ভাইয়ার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিলেন ।
আমি খেয়াল করছি আলিফ ভাইকে ।
নতুন কেউ আসলে আমি তাকে খুব বেশি পর্যবেক্ষণ করি । এটা আমার অভ্যাস ।
আলিফ ভাইয়া একটা ডার্ক ব্লু টি শার্ট পরা । টি শার্ট এর ভি গলা । উনি যে নিয়মিত ব্যায়াম করেন সেটা টি শার্ট এর উপর দিয়ে বুঝা যাচ্ছে ।
কথা বলার সময় বিভিন্ন অংগভংগির সময় উনার হাতের পেশি ফুলে ফুলে উঠছে ।
মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি । মাথায় চুল অল্প । তাই একটা অন্যরকম স্টাইল করেছেন ।
আশফাক কথার ফাঁকে ফাঁকে উনার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে ।
কেউ ব্যপারতা খেয়াল না করলেও সেটা আমার চোখ এরাচ্ছে না ।
আমি সব ঠিক বুঝতে পারছি ।
বস এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, দিব্য । এবারের মডেলের কি ধরনের ড্রেস দেয়া যেতে পারে ?
বস । আমার ধারনা এবার আমরা একেবারে গ্রাম্য একটা মেয়ের যা পরনে থাকে সেটা করতে পারি । অনেকটা দেশাল এর মডেল রা যেইরকম হয় ।
ইয়েস ! নরমাল একটা আটপৌরে শাড়ি থাকবে । গ্রামীণ চেক কিংবা টাঙ্গাইল শাড়ি হতে পারে । অনেকটা মনপুরা সিনেমার স্টাইলে । শিমুল ভাই এক দমে বলল ।
আশফাক শিমুল ভাইয়ার কথার রেশ ধরে বলল, আমার মনে হয় গ্রামের শাড়ি যদি পরানো হয় তবে ব্লাউজ না পরানোই ভালো । এতে সেক্সুয়াল ব্যপারতা থাকবে ছবিতে ।
আলিফ ভাই এবার বলল, আমরা মেয়েটার পাশাপাশি একটা ছেলেকেও রাখতে পারি । তবে ছেলেটার পরনে থাকবে শুধু নেংটির মত । লুঙ্গি ভাঁজ করে যেমন করে পরে । খোলা বুক । দারুন আসবে ফটোগ্রাফিতে ।
মিলা ওপাশ থেকে বলল, ভাইয়া এটাকে কাছা লুঙ্গি বলে ।
সবাই হা হা করে হেসে দিল ।
আলিফ ভাই বললেন, ঐ কাছা আর পাছা যাই হোক । তবে ছেলে মডেল টা খালি গায়ে থাকবে ।
তাই ছেলে মডেল বাছার সময় বডি ভালো এমন মডেল নিতে হবে ।
এটা ঠিক বলেছেন । প্রচ্ছদে সেক্সুয়ালিতি যত বেশি থাকবে পাবলিক তত খাবে, মিলা ওপাশ থেকে বলল ।

বস একটু চিন্তার ভঙ্গিতে বলল, আলিফ ঠিক বলেছিস । প্রচ্ছদে ছেলে এবং মেয়ে দুজনের মাঝেই একটা আদিম ভাব ফুটিয়ে তুলতে হবে । আজকাল মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের যৌনতাকেও বিজ্ঞাপনে কাজে লাগানো হচ্ছে । কিছুদিন আগে কুল এর একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম বিলবোর্ডে । একটা ছেলে খালি গায়ে দাঁড়ানো আর একটা মেয়ে হাতে আপেল নিয়ে আছে ।
আমি বললাম, বস । ঐ বিজ্ঞাপনটা পাবলিক খুব খাচ্ছে ।
বস এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ঠিক বলেছ । দেশীয় পোশাকে এই রকম থিম আমাদের এবার করতে হবে । কি মিলা ! তুমি কি থিমটা বুঝতে পারছ ?
মিলা এবার বলল, জি বস ।
বস এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলে, দিব্য । ছেলে মডেল খুঁজার দায়িত্ব তোমার ।
আশফাক এবার মুখ খুলে বলে, ভাই । আমি এই ব্যপারে দিব্যকে হেল্প করতে পারি ।
রুমি আপু এতক্ষন কিছু বলছিল না । সে এবার মুখ খুলল, হুম । ছেলে মডেল দের সাথে আশফাকের জানাশোনা ভালো ।
সবাই একটু মুচকি হাসল ।
আশফাক একটু লজ্জা পেল বোধহয় ।
বস এবার বলল , ঠিক আছে । আজ তাহলে এই পর্যন্তই ।
নেক্সট মিটিং আগামী সোমবার ।

মিটিং শেষ হবার পর আমি আমার ডেস্কে আসলাম ।
ল্যাপটপ অন করে আমার মেইল বক্স চেক করছিলাম ।
এমন সময় পাশে দেখি আলিফ ভাই দাঁড়িয়ে আছে ।
আমি চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে বললাম, ভাইয়া । আপনি ।
আমি একটা চেয়ার বাড়িয়ে দিলাম । বললাম, বসুন ভাই ।
আলিফ ভাইয়া চেয়ারে বসলেন ।
আমার দিকে তাকালেন ।
উনার তাকানোর ভঙ্গিটা একটু অন্যরকম লাগল ।
কিছু কিছু মানুষ চোখ দিয়ে মানুষের ভেতরে ঢুকে যান । ওদের কাছে নিজেকে আড়াল করাটা খুব কষ্টকর হয়ে যায় । আলিফ ভাই তেমন ধরনের মানুষ ।
আলিফ ভাইয়া আমাকে বললেন, তোমার সাথে আমার বোধহয় কোথাও দেখা হয়েছিল ।
আমি বললাম , জি ভাইয়া । রং এর একটা অনুষ্ঠানে । গত মাসে ।
ও ও । এখন মনে পড়েছে । ঐ পার্টিতে তোমাকে সবার থেকে একটু আলাদা লাগছিল । তোমার ফ্যাশন নিয়ে সেন্স বেশ ভালো ।
কি যে বলেন ভাইয়া । আমি কাজ করার চেষ্টা করি । আমি লজ্জা পেয়ে বললাম ।
আলিফ ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বললেন, শোন কাজ অনেকেই করে কিন্তু নিজেকে মানুষের সামনে রি প্রেজেন্ত করতে সবাই পারে না ।
ভাইয়া, আমি সবসময়ই সিম্পল থাকি ।
শোন দিব্য আজকাল সিম্পল থাকাটাই ফ্যাশন । তোমার মাঝে আলাদা একটা আকর্ষণ আছে । সেটা কি জানো ? মডেলিং কর না কেন ?
সরি ভাই ! ঐটা আমারে দিয়ে হবে না ।
আলিফ ভাইয়া আমার বাম হাতের ঘড়ির দিকে হাত বাড়িয়ে আমার বাম হাত ছুঁলেন । বাহ । ঘড়িটা বেশ সুন্দর । কোথা থেকে কিনলে ?
আমি আলিফ ভাইয়ার স্পর্শে কিছুটা অপ্রস্তুত । উনার স্পর্শ একটু অন্যরকম লাগল । কেমন কাম মেশান স্পর্শ । সবাই কিন্তু স্পর্শ বুঝতে পারেন ।
আমি বললাম, ভাইয়া এটা গিফট । আমার এক ফ্রেন্ড শুভ এটা আমাকে দিয়েছে ।
আলিফ ভাই তখনও হাত ছারেন নি । উনার হাত আমার বাম হাতের কবজি ধরে আছে । মাঝে মাঝে তর্জনী দিয়ে আমার বাম হাতের লোম হালকা নাড়া দিচ্ছেন ।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার হাতে বেশ লোম । লোমশ পুরুষ নাকি তুমি ?
আমি বুঝতে পারছিলাম আলিফ ভাইয়ার কথা বার্তা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে ।
আমি সাথে সাথে বললাম, জি ভাই । আমার বুকেও অনেক লোম । আমার গার্ল ফ্রেন্ড খুব লাইক করে ।
গার্ল ফ্রেন্ড শুনে আলিফ ভাইয়া হাত সরিয়ে নিলেন ।
উনি একটু হতাশ ।
মুখ দেখে বুঝলাম ।
উনি মুখে মেকি হাসির রেখা টেনে বলেন, তোমার গার্ল ফ্রেন্ড লাকি ।
আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন ভাই ?
আলিফ ভাইয়া হেসে বললেন, তোমার মত একজন হার্ড পুরুষ পেয়েছে তাই !
আলিফ ভাই ! আপনার গার্ল ফ্রেন্ড ও আপনাকে পেয়ে লাকি । আমি আলিফ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম ।
সে ভাগ্য কি সবার হয় ? আলিফ ভাইয়া বাইরে জানালার দিকে তাকালেন ।
কি যে বলেন ভাই ? আপনি কত মডেল নিয়ে কাজ করেন । কত মডেল আপনার জন্য পাগল ।
আলিফ ভাইয়া কিছু না বলে আমার মোবাইল নম্বর নেন । আমাকে তার ফেসবুক আইডি দিয়ে বলেন রাতে কথা হবে । এখন আসি । তোমার সাথে কথা বলে ভালো লাগল ।
আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আলিফ ভাইয়ের সাথে হ্যান্ড শেক করলাম ।
বললাম, ভাইয়া । আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে ।
আলিফ ভাইয়া আমার হাত ঝাঁকুনি দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরলেন । বললেন, সময় হোক । সব শেখাব ।
আলিফ ভাইয়া এই বলে চলে গেলেন ।
আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম ।
উফ । এভাবে কাজ করা খুব কষ্ট । আমি সমকামী । তাই নিজে এটা বুঝি যে সমকামীরা সমকামিদের সহজেই চিনতে পারে ।
আলিফ ভাইয়া সমকামী । এটা আমি বুঝে গেছি । তাই নিজে ইচ্ছে করেই গার্ল ফ্রেন্ড আছে বললাম ।
মিডিয়া জগতে কাজ করার অনেক হেফা ।
এখানে পদে পদে নিজেকে ব্যবহার হতে হয় । এখানে প্রতি পদক্ষেপে যৌনতার হাতছানি ।
আমি শুভকে ভালবাসি ।
তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখি ।
সমকামী কলিগ কিংবা মডেল দের থেকে দূরে থাকি ।
কিন্তু এভাবে কয়দিন থাকতে পারব কে জানে ?
আমিও মানুষ ।
নিজেকে কতদিন এভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব কে জানে ?
সেল ফোনটা হাতে নিলাম ।
শুভকে ফোন দিলাম ।

কি ব্যপার পাখি ! আজ এতো সকাল সকাল ফোন ! শুভ ওপাশ থেকে বলল ।
খুব মিস করছি তোমায় । আমি ঠাণ্ডা গলায় বললাম ।
মিটিং শেষ ?
হুম ।
মিটিং কেমন হল ?
যেমন হয় ! এখানে সবকিছুই এনজয়ের !
হুম । আর আমার অবস্থা দেখ ! সকাল হতেই রোগী আর রোগী ! মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ।
এই জন্যই ডাক্তারদের মন কঠিন হয়ে যায় । ওপাশ থেকে হেসে শুভ বলল ।
আমি আদর করে নরম করে দিব । আমি মোবাইলে চুমু খেলাম ।
এখন মন খারাপ কেন ? সেটা বল । শুভ আমাকে বলল ।
আরে নাহ ! তুমিত জানই এখানে শুধু সমকামীদের ছড়াছড়ি । কি করে যে নিজেকে লুকিয়ে রাখি ওদের কাছ থেকে !
ও এই কথা ! তা কি হয়েছে আজ । শুনি !
তেমন কিছু না । আশফাক কে তো চিনই । ও তো অফিসে এসেই ঘুর ঘুর শুরু করে ।
ও ! সেই ডিজাইনার আশফাক ! হুম । তুমি ওর কথা বলেছিলে । একটু মেয়েলি ধাঁচের ।
হুম । ওর সাথে আজ আবার বসের ফ্রেন্ড যুক্ত হইল । উনার নাম আলিফ ভাই ।
তাহলেত তোমার কপাল খুলল । নতুন পাখি পাইলা ।
এই শুভ !তোমার মাথায় বাড়ি দিমু । নতুন পাখি পাইলাম মানে কি ? আমার সাথে ফাইজলামি কর ! সামনে পাইলে বুঝামু ।
ওকে ওকে ! কুল ম্যান । পরে কি হল সেটা বল । শুভ হাসতে হাসতে বলল ।
মিটিং শেষে আলিফ ভাই আমার ডেস্কে এসে বসে । আমার পাশের চেয়ারে বসে আমার বাম হাতের ঘড়ি ধরার ছলে আমার হাতে হাত বুলায় । বলে আমি নাকি হার্ড পুরুষ । আমাক যে পাবে সে নাকি ধন্য ! চিন্তা কর ! সে আমাকে প্রথম দিনই এসব কথা বলতে পারে ?
শুভ হা হা হা করে হাসে ।
এই তোমার হাসি থামাবে ? আমি একটু রাগি রাগি গলায় বলি ।
শুভ বলে , দাঁড়াও একটু পানি খাইয়া নিই । হা হা হা ।
শুভ গ্লাস থেকে পানি খায় । আমি মোবাইলে শব্দ শুনি ।
এবার বলে, শুন । তোমার আলিফ ভাইয়া মিথ্যা কিছু বলে নাই । তুমি আসলেই হার্ড পুরুষ । হা হা হা ।
শুন । ঐ বেটা আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে গেছে । আজ রাতে নিশ্চিত কল দিবে ।
দিক । কল দিক । কল দিলে কথা বলবে ।
তোমার মাথা কথা বলব । আমি রাগ করে বললাম ।
এই শোন দিব্য ! তোমার মাথা এখন গরম । কিছু খেয়ে নাও । রাগটা কমবে । এখন আমি যা কিছু বলি তোমার রাগ লাগবে । খেয়ে দেয়ে মেজাজ ঠাণ্ডা হলে মেসেজ দিও । শুভ শান্ত গলায় বলল ।
তুমি আমায় এতো বুঝ কেন শুভ ।
আপনাকে ভালবাসি তাই । বুঝলা বান্দর ! ওকে এখন রাখি । পরে কথা হবে ।
ওকে জান । লাভ ইউ ।

ফোন রেখে চেয়ারের পেছনে দুই হাত রেখে মাথা এলিয়ে দিলাম । চোখ বুজে শুভর মুখ টা কল্পনা করছি ।
এমন সময় মিলা আমার মাথায় ধাক্কা দিয়ে বলল, ঐ । ঘুমাস নাকি ।
আমি চোখ মেলে বললাম, আরে নাহ । একটু চোখ বুজলাম ।
মিলা আমার টেবিলে একটা গোলাপি রঙের খাম রেখে বলল, ঐ শোন । সন্ধ্যায় পারসনার একটা প্রোগ্রাম আছে । তোকে যেতে হবে । বস বলছে ।
তুই যা না দোস্ত । আমি মিলার দিকে ফিরে বললাম ।
আমার আরেকটা প্রোগ্রাম আছে । মিলা হেসে বলল ।
ধুর বাল । ঐ মাইয়াগ প্রোগ্রামে গিয়ে কি করুম ।
মাইয়া দেখবি । বুঝলি ? মিলা আমার মাথায় ধাক্কা দিয়ে চলে গেল ।

আমি খামটা খুলতে যাব এমন সময় আমার ফোনের রিং টোন বেজে উঠল ।
আননোন নম্বর ।
রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে একটা ভরাট কণ্ঠ ।
হ্যালো । দিব্য! আমি আলিফ ।
ও ভাইয়া আপনি !
হুম শোন । আজ সন্ধ্যায় পারসনার যে প্রোগ্রাম টা আছে সেখানে আমিও যাব ।
তুমি অফিস থেকে বের হবার আগে আমাকে ফোন কোর । দুজন একসাথে যাব ।
ভাইয়া । আমি একাই যেতে পারব ।
শুন । যা বলছি শুন । বেশি কথা আমার পছন্দ না ।
এখন রাখি ।

আলিফ ভাইয়া কট করে ফোনটা রেখে দিল ।
আমি মনে মনে বললাম, আবার আলিফ ভাই..............................!!!

(চলবে)