অন্য বসন্ত পর্ব- ০৮

বাস থেকে নেমে বাসায় পৌঁছাতেই পৌঁছাতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল ।
এতো ক্লান্ত লাগছিল যে আমার রুমে ঢুকেই ধপাস করে পড়ে গেলাম বিছানায় ।
মা পাশের ঘর থেকে বলল, কিরে দিব্য ! শুভ কেমন আছেরে ?
ভালো ।
হাত মুখ ধুয়ে আয় । টেবিলে খাবার দিচ্ছি ।
খেয়ে দেয়ে বিছানায় শুতেই রাজ্যের ঘুম চলে আসল ।
যখন ঘুম ভাঙল তখন ঘড়িতে রাত ১০ টা ।
বালিসের পাশে রাখা সেল ফোনটা হাতে নিতেই দেখলাম মোট ২০ টা মিস কল ।
এর মাঝে ১৭ টা শুভর দেয়া আর ৩টা আমার অফিসের বসের ।
তাড়াতাড়ি বসের ফোনে কল দিতেই ওপাশ থেকে বস বলল, কি মিয়া । ঢাকায় আসছ ?
জি বস । আজ আসলাম সন্ধ্যায় । ঘুমাচ্ছিলাম বস । তাই ফোনটা ধরলে পারি নি ।
ঠিক আছে । ঠিক আছে । শোন ! কাল সকাল দশটায় অফিসে জরুরি মিটিং । ঠিক ১০ টায় অফিস থাকবে । বেশ কয়েকজন ফ্যাশন ডিজাইনার আর মডেলও আসবে । বুঝলা ?
জি বস । আপনি টেনশন নিয়েন না । আমি জাস্ট ১০ টায় থাকব ।

উফ ! মিডিয়াতে কাজ করার এই হল যন্ত্রণা । ভেবেছিলাম । কাল একটু আরাম আয়েশ করে বিকেলের দিকে অফিস যামু । সেটাও হল না ।
এই রে ! খাইসে আমারে । শুভকে জানানো হয় নি । আমি যে বাসায় পৌঁছেছি ।
ওর মোবাইলে কল দিতেই ওপাশ থেকে শুভ বলল, সাহেবের ঘুম ভাঙল ।
উম্মম্মম্মম্মম । সরি বেবি । কল দিতে মনে ছিল না । আমি আদুরে গলায় অপরাধীর মত বললাম ।
আমি সেটা আগেই জানতাম । বুঝলে ? শুভ আমাকে বলল ।

হুম । আচ্ছা ! তোমার ওখানে কি এখনও বৃষ্টি হচ্ছে ?
হুম । অনেক বৃষ্টি হচ্ছে । তুমি বুঝলে কি করে ? শুভ অবাক হয়ে বলল ।
আমার কান অনেক পরিস্কার । বুঝলে ডাক্তার !
হা হা হা । আমি তোমার কানের ললিতে আদর করি । চুমু খাই । তাই তুমি কানে এতো ভালো শুন ! শুভ হাসতে হাসতে আমায় বলে ।
আজ রাতে কাকে নিয়ে ঘুমাবে ! আমিতো নেই !
কাকে নিয়ে আর ? আমার কোলবালিশ টাকে তোমার টি শার্ট টা পড়িয়েছি ।
এই পাগল ! এসব কি বল । আমি অবাক হয়ে শুভকে বলি ।
আমি সত্যি সত্যি পাগল ।
ও শোন ! তোমাকে একটা কথা বলতে ভুলে গেসি !
কি কথা দিব্য ?
কাল আমার অফিসে মডেল আর ফ্যাশন ডিজাইনারদের সাথে মিটিং । সকাল ১০ টায় ।
হইসে ! কাজ হইসে ! কাল নিশ্চিত কয়েকটা নতুন গে দের সাথে তোমার দেখা হবে । এর মাঝে কেউ হয়ত তোমার পুরুষালী বুকের প্রেমে পড়বে । কেউ তোমার হাত ধরতে চাইবে । কেউ হয়ত তোমার ফোন নম্বর চাইবে । তাই না ! হা হা হা । আর এসব গল্প সব আমাকে আগামীকাল রাতে শুনতে হবে ।
শুভ ! তোমারে ধইরা হাড্ডি গুড্ডি ভাইঙ্গা দিতে ইচ্ছা করতাসে । বান্দর পোলা একটা ।
বান্দরের সাথে থাকতে থাকতে আমিও বান্দর হইয়া গেসি । শুভ হা হা হা করে হাসে ।
ও তাই নাকি । আসো বাঁদর ছানা । তোমাকে কলা খাওয়াই । আমি দুষ্টুমি করে বললাম শুভকে ।
থাক বাবা ! তোমার মোবাইল ছোট ঐ মোবাইলে কলা কেমনে পাঠাইবে !
ওরে দুষ্টু ! দাঁড়া ! নেক্সট বার যখন ঢাকায় আসবি তখন বুঝাব । আমি কপট রাগ করে শুভকে বলি ।
আমি রেডি । শুভ ওপাশ থেকে আহ্লাদি গলায় বলে ।
শোন । এখন রাখি । কাল মিটিং এর জন্য কিছু প্রিপারেসন নিতে হবে ।
ওকে বাবা । ওকে । শোন কাল একটু কম সেজে গুঁজে যেও ।
মানে কি ? আমি কি মাইয়াগো মত সাজি নাকি ।
বুকের বোতাম গুলা খুইল্লা রাইখ না । বুঝলা ?
আমি কি করুম ! আমার বুকে গরম লাগে যে । হা হা হা ।
যাহ্‌ । যত ইচ্ছা তোর লোমশ বুক দেখা । আমার কি ? যার বুক তার যখন এতো কিরকিরানি ! শুভ রেগে গিয়ে আমায় বলে ।
এই এই প্লিজ ! আমিতো ফান করছিলাম । আচ্ছা । ঠিক আছে । কাল বুকের বোতাম খোলা রাখব না । হলত !
হুম । শুভ গম্ভীর গলায় বলে ।
কি ব্যপার এখনও রাগ ভাঙ্গে নি সোনা বাবুনির ? আমি শুভকে আদর করে বলি ।
জানি না ।
আমি মোবাইলটা মুখের কাছে নিয়ে বলি, হে সুদর্শন যুবক ! তুমি কি তোমার লালচে ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁটে চুম্বন দেবে ?
দিমু না ! শুভ ওপাশ থেকে বলে উঠে ।
কেন দিবি না ? ঐ দুইটা আমার ! চুমু দিবি কিনা বল ?
শুভ ওপাশ থেকে সেল ফোনের গা জুড়ে চুমু দেয় ।
চুমু ভেসে আসে শব্দ তরঙ্গের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ।
আমিও আমার ঠোঁটের পরশ বুলাই ওর ঠোঁটে চোখ বুজে কল্পনায় । বলি, সোনা । এখন যাই । ঘুমাও । কাল তোমার জন্য অনেক মজার মজার গল্প নিয়ে হাজির হব ।
শুভ ওপাশ থেকে বলে, হুম । বুঝলাম । শোন দুপুরে ঠিক মত খেয়ে নিও । আর বাইক চালানোর সময় হেলমেট পড়তে ভুলনা যেন !
সব মনে থাকবে জান ।
গুড নাইট ।
গুড নাইট জান ।
সকালে উঠেই তাড়াহুড়ো করে বের হলাম ।
এই যাহ্‌ । সাড়ে আট টা বাজে ! খোদাই জানে আজ কপালে কি আছে ?
সময়মত পৌছতে পারব কিনা কে জানে ।
আল্লাহ আল্লাহ করে ১০ টার আগে পৌছতে পারলে হয় ।
ঠিক ১০ টা বাজার ১০ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছলাম ।
পড়িমরি করে ঢুকতেই ডেস্কে বসা নতুন মেয়েটা একটা ভেটকি মাছের মত হাসি দিয়ে বলল, ভাইয়া ! ২ দিন কই ছিলেন ? আপনি না থাকলে অফিসটা খালি খালি লাগে ।
আমি কথা না বলে হাসলাম । বললাম, তাইলেত মহা বিপদ ভাই । এতো খালি খালি লাগা সন্দেহজনক !
ভাইয়াআআআআ । আপনি একটা ইয়ে । খালি দুষ্টুমি করেন ।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে আমার ডেস্কে বসতেই মিলা এসে আমার চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে বলল, কিরে ! কোথায় ডুব মারছিলি দুই দিন । কোন খোঁজ খবর নাই । কল দিলেও ধরিস না ।
আমি বললাম, কিরে মিটিং হবে না ?
মিলা হাই তুলে বলল, বস এর আসতে লেইট হবে । একটু আগে আমারে ফোন কইরা জানাইল । কিরে কইলি না ? কই গেসিলি ?
ওহ ! গেছিলাম আমার এক বন্ধুর ওখানে বেড়াতে ।
হুম । তাই বুঝি । আমি ভাবলাম আবার কোন মাইয়ারে নিয়া মইজা গেছিস । হা হা হা ।
আরে না না । চল দুইটা টান মাইরা আসি ।
মিলা মেয়ে হলেও ওর মাঝে নেকামি ব্যপারতা কম । আমার এটা খুব ভালো লাগে । ওর বিয়ে হয়েছে ৭ মাস হল । মিলা আর আর ওর জামাই পলাশ দুজনেই আমার কালচারাল পরিচয়ের বন্ধু । কিন্তু সম্পর্কটা এখন অনেক ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে । মিডিয়াতে কাজ করে বলে মিলার মাঝে লজ্জা আর জড়তাটাও কম । সবার সাথেই সহজে মিশতে পারে । একজন বন্ধু যেমন বন্ধুর সাথে সব কথা শেয়ার করে মিলাও তেমন ।
ওর মনে বন্ধুত্তের সম্পর্কের মাঝে ছেলে মেয়ে এসব কখনোই কাজ করে না ।
মিলা আর আমি অফিসের স্মোকিং জোনে আসতেই দেখি শিমুল ভাই এখানে দাঁড়িয়ে সুখ টান দিচ্ছেন ।
অফিসের এই জায়গাটা আমাদের সবার খুব পছন্দের ।
যখন কাজ করতে করতে মাথা হেং হয়ে যায় তখন আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা মারি । সিগারেট খাই । যারা নন স্মোকার তারাও গল্পের লোভে এখানে দাঁড়িয়ে ধোঁয়ার অংশিদার হয় । অবশ্য তখন ওদের অনেকের হাতেই চা এর মগ থাকে ।
একটা কথা মনে পড়ে গেল। কোথায় যেন পড়েছিলাম ! বেঁচে থাকতে হলে সবাইকেই কিছু না কিছু নেশার দরকার হয় । সেটা ভালো নেশা কিংবা খারাপ নেশা দুইই হতে পারে । তবে সেই নেশা শুধু মদ গাজা সিগারেট কিংবা আফিমের মত নয় । সেটা হতে পারে ভালো কোন কাজ করার নেশা । বই পড়ার নেশা । আমার ছোটবেলার এক বন্ধু ছিল । ওর ছিল গাছের নেশা । নতুন কোন ফুল কিংবা ফলের গাছ দেখলেই সে পাগল হয়ে যেত । আজকাল অনেক পোলাপাইন এর মাথায় সেক্স করার নেশাও নেহাত কম নয় !
শিমুল ভাই আমারে দেইখাই লাফিয়ে উঠে বলল, আরে হিরো । কই ছিলা । আমার পিঠে একটা থাপর দিলেন ।
এইত ভাই । একটু ঢাকার বাইরে গেছিলাম ।
কি ব্যপার ! কিছু চলছে নাকি । আমরা জানলাম না ?
মিলা এবার মুখ খুলল, আরে ভাই । সেইরকম কিছু না । ও হল বোকা চুদা ।
ছি ছি ছি ! মিলা ! তোর মুখের এই অবস্থা ! পলাগো সামনে এইসব কি কস !
শিমুল ভাই আমার দিকে হাসে । আরে মিয়া । মিলা অইল এই যুগের মাইয়া ।
পলাশ যে কেমনে তোর সাথে ঘর করতাসে আল্লাহ মালুম । আমি সিগারেট এর প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে একটা মিলার হাতে দিলাম ।
আরেকটা আমার ঠোঁটে নিয়ে শিমুল ভাই এর সিগারেট থেকে আগুন নিলাম । মিলা আমার টা থেকে নিল ।
দেখ ডিব্বা !( মিলা আমাকে মাঝে মাঝে ডিব্বা বলে ডাকে ) । আমার সাথে কেমন কইরা তোর দোস্ত ঘর করে চল আজ বাসায় । তোরে চোখের সামনে বসাইয়া আমি আর তোর দোস্ত মিল্লা লাইভ দেহাইয়া দিমু ।
আমি হা হা করে হেসে দিলাম ।
শিমুল ভাই এবার মুখ খুলে, বইন ! আমি কি দুস করলাম । আমি কেন বাদ পরলাম ।
মিলা এবার হাসতে হাসতে বলে, ভাই । বেশি শখ কইরেন না । ভাবিরে কইয়া দিমু ।
শিমুল ভাই এবার একটু সিরিয়াস মুড নিয়ে বলে, এইরে । উনার নাম শুনিলেই বুকে কাঁপন জাগে । থাক থাক ।
মিলা এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলে, কিরে দিব্য ! আজ কিসের জন্য মিটিং ডাকসে বস !
আমি কেমনে কমু ? আমি কি অফিস ছিলাম নাকি ? ছিলিত তোরা । সিগারেটের ধোঁয়ার রিং মাথার উপর ছুঁড়ে দিতে দিতে বললাম ।
হুম । শুনেছি আজ ম্যাগাজিন এর কভার পেইজ এর ফটো সেশন নিয়ে কথা হবে । শিমুল ভাই সিগারেট এর ছাই আঙ্গুল দিয়ে ঝাকুনি দিয়ে ফেলতে ফেলতে বলল ।
খাইছে । আজকে পুরা অফিসটা হোমো দিয়া ভইরা যাইব । মিলা কপাল কুঁচকে বলল ।
তাতে তোর কি ? আমি মিলার কাঁধে খোঁচা দিয়ে বললাম ।
আমার আর কি ? সব গুলা আজ তোর, শিমুল ভাই আর রেহান এর পিছনে ঘুর ঘুর করবে । আর ঐ যে লবঙ্গ ফ্যাশন হাউজের ডিজাইনার আশফাক হেয় তো আমারে কইব, মিলা আপু ! তোমার স্কিন টা এতো সুন্দর হল কেমন করে । বল না !( মিলা অভিনয় করে নাকি নাকি গলায় বলে দেখায় ।)
আশফাক যে গে এটা ফ্যাশন জগতের সবাই জানে । অবশ্য এটা ওর কাউকে বলে দিতে হয় না ।
ওর পাছা দুলানো দেখলে যে কেউ সেটা বুঝে যাবে । তার উপর তার উদ্ভট ড্রেস আপ । বেশির ভাগ সময় সে কচি কলাপাতা, হলদে, কমলা, কটকটে লাল কিংবা আকাশি রঙের শার্ট কিংবা ফতুয়া পরে ।
ভালোই অভিনয় পারিস । আমি হাসতে হাসতে বললাম মিলাকে ।
চল । ক্যান্টিন থেকে চা খেয়ে আসি ।
সকালে চা টাও খাই নি ।
সিগারেট শেষ করে আমি মিলা আর শিমুল ভাই রুমে ঢুকতেই দেখি আশফাক বসে আছে ডান পায়ের উপর বাম পা রেখে । মনে হচ্ছে কোন ষোড়শী তরুণী তার সমস্ত যৌবনের পশরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছে তার নাগরের জন্য । ওর পরনে ধানী রঙের একটা পাঞ্জাবি । অবশ্য এটাকে পাঞ্জাবি না কামিজ বলব বুঝতে পারছি না । পায়ে আকাশি রঙের স্যান্ডেল । গলায় লাল একটা গামছা । কি যে উদ্ভট লাগছে ! অফ গড !
মিলা আমার গায়ে খোঁচা দিয়ে ফিস ফিস করে বলল, দেখ বলতে না বলতেই চলে এসেছে । এখন নিশ্চিত দৌড়ে তোর কাছে আসবে ।
মিলা এটা বলা মাত্রই আশফাক আমাকে দেখল । এক দৌড়ে আমার কাছে এসে বলল, দিব্য ভাইয়া ইয়া ইয়া ইয়া ইয়া ইয়া ! কেমন আছ ! অফ ! কতদিন পর তোমায় দেখলাম ! তুমি এতো কিউট হচ্ছ কেন দিন দিন ! ইয়াআল্লাহ ! তোমার মুখ থেকে সিগারেট এর গন্ধ বেরুচ্ছে । এই দুষ্টু সিগারেট খেয়েছ কেন ? এমা ! মিলা আপুপুপুপু !! তুমি ও তো সুন্দর হয়ে গেছ ! ও গড ! তোমার স্কিন টা কত সুন্দর লাগছে । কি মাখ আপু বল না ।
আমি আর মিলা দুজন একসাথে বলে উঠলাম, আমাদের দুজনের সবকিছুর রহস্যের মুলে আছে সিগারেট ।
ইয়াক থু ! আশফাক মুখ বাকিয়ে বলে, ছি ! আমি মরে গেলেও এসব খেতে পারব না ! এসব মানুষ খায় ! বাই দা ওয়ে শিমুল ভাই আপনার ভুঁড়িটা কিন্তু বেড়ে গেছে । আপনার ডায়েট করা উচিত ।
শিমুল ভাই হা হা করে হাসে । বলে, ভাই ডায়েট আমারে দিয়া অইব না ।
আশফাক এবার তার কোমরের দু পাশে হাত রেখে বলে, উফ ! আপনাদের নিয়ে আর পারা গেল না । এই যে দেখুন আমি ! গত মাসে আমি আমার ওজন ৩ কিলো কমিয়েছি । সবকিছু হয়েছে ডায়েট এর কারণে ।
মিলা আমার কানে কানে বলে, ভালো কইরা চাইয়া দেখ । নিঃশ্বাস চাপাইয়া রাইখা পেট চিমাইয়া রাখছে । কত লীলা যে দেহুম !
আমি হাসি আটকে রাখতে না পেরে হা হা করে হেসে দিলাম ।
এবার আশফাক আমার দিকে এগিয়ে এসে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলল.....................

(চলবে)