Home » » অন্য বসন্ত পর্ব -১০

অন্য বসন্ত পর্ব -১০

Written By Kimakar on সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৩ | ৯:৩২ AM

ঘড়িতে তাকালাম ।
সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪৭ মিনিট ।
পারসোনার প্রোগ্রামে যেতে হবে সাড়ে সাতটায় ।
অবশ্য প্রোগ্রামটা আমার অফিসের কাছেই ।
তাই ভাবলাম ২০ মিনিট আগে বেরুলেই হবে ।
কিছু কাজ ছিল ডেস্কে । সেগুলোই করছি ।
অফিসের অন্য সবাই আগেই চলে গেছে ।
এমন সময় ফোনের রিং টোন বেজে উঠল ।
আলিফ ভাইয়া ফোন দিয়েছে ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোন রিসিভ করলাম ।
হ্যালো দিব্য । তাড়াতাড়ি নিচে নামো । আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি ।
ওকে । ঠিক আছে ভাইয়া । আমি এক্ষনি নিচে নামছি ।
তড়িঘড়ি করে ভয়েস রেকর্ডার, নোট বুক আর একটা পেন আমার ছোট ব্যাগটায় নিলাম ।
মাথার চুলে তাড়াতাড়ি আঙ্গুল বুলিয়ে নিজেকে একবার ওয়াস রুমের আয়নায় দেখে নিলাম ।
ওকে । এভ্রিথিং ওকে ।
ল্যাপটপ অফ করে নিচে নামলাম ।
দেখলাম আলিফ ভাইয়া তার ধবধবে সাদা গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ।
আমি বাইকে হাত দিতেই উনি বললেন, বাইক নেয়ার কি দরকার ! তুমি আমার সাথে গাড়িতে চল । আর যাবার সময় আমি তোমায় অফিসে নামিয়ে দিব । তখন বাইক নিয়ে বাসায় যেতে পারবে ।
আমি একটু আমতা আমতা করে বললাম, থাক ভাইয়া । আমি বাইকটা নিয়ে যাই ।
দিব্য ! যা বলছি শোন । কেউ আমার কথা না শুনলে আমার দারুন মেজাজ গরম হয় ।
আলিফ ভাইয়া রাগি রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন ।
আমি কিছু না বলে গাড়ির দিকে এগুলাম । এদের সাথে কথা বাড়ালেই বিপদ ।

গাড়িতে উঠে বসতেই আলিফ ভাইয়া গাড়ি স্টার্ট দিল ।
গাড়ির ভেতর গান ছেড়ে দিল, চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে...............।
গাড়ির ভেতর একটা সুন্দর গন্ধ । সেটা আলিফ ভাইয়ার গা থেকেই আসছে ।
আমি এবার বললাম, এই গানটা আমার খুব পছন্দের গান ।
আলিফ ভাইয়া একমনে ড্রাইভ করছেন ।
আমার দিকে না তাকিয়েই বললেন, এটা আমার ভালোবাসার মানুষেরও প্রিয় গান ছিল ।
ছিল কেন ? আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ।
ছিল মানে ছিল । এখন নেই । ওর আর আমার সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে ।
কে সে ? জানতে পারি কি ?
থাক দিব্য ! জীবনের সব কথা জানতে হয় না । আর আমার ভালও লাগে না ।
সরি আলিফ ভাই ।
ইটস ওকে ম্যান ।
বিয়ে করবেন কবে আলিফ ভাই ! মেঘে মেঘে বেলা কম হল নাতো !
সবাইকেই যে বিয়ে করতে হবে এমন ভাবাটা কি ঠিক ?
ঠিক তা নয় ! আমি আমতা আমতা করে বললাম ।
আলিফ ভাইয়া আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন, যাকে আমার হৃদয় চায় তাকে যদি পাই তবে বিয়ে করব । বুকের মাঝে আগলে রাখব ।
আমি আলিফ ভাইয়ার চোখ থেকে চোখ নামিয়ে নিলাম ।
বাকি পথ দুজন আর তেমন কোন কথা বললাম না ।

গাড়ি এসে ক্লাবে পৌঁছাতেই দেখলাম একজন ছেলে মডেল ছুটে আসল ।
আলিফ ভাইয়া গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই সে আলিফ ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরল ।
নেকা নেকা গলায় বলল, ও আলিফ ভাইয়া । আপনার গত মাসের ম্যাগাজিন এর ফটো শুটে আমাকে নিলেন না কেন ? আমি কিন্তু খুব রাগ করেছি ।
আলিফ ভাইয়া নিজেকে ছাড়িয়ে নিলেন ।
একটু ভারি গলায় বললেন, দেখ মাহিন । আমাদের গত মাসের ফটো শুটে মেয়ে মডেল দের নিয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে । নেক্সট টাইম তোমাকে নিয়ে কাজ করব ।
আমি মাহিন এর দিকে তাকিয়ে হাসলাম ।
মাহিন এর মুখ গোমড়া ।

আলিফ ভাইয়া আমার হাত ধরে ভেতরে ঢুকলেন ।
আমার একটু আন ইজি লাগছে ।
কেননা আলিফ ভাইয়া সমকামী এটা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে ।
উনি সবার সামনে আমার হাত ধরে ঢুকছেন । তাই এতে আমি কিছুটা লজ্জা পাচ্ছি ।
কত গুলো মেয়ে মডেল আলিফ ভাইয়ার দিকে দৌড়ে আসল ।
আমি এই ফাঁকে অন্য দিকে চলে গেলাম ।
আমার এসব আদিখ্যেতা ভালো লাগে না ।
আমি জানি বিনোদন জগতে যারা কাজ করে তাদের সব জায়গায় অভিনয় করে চলতে হয় ।
ভালো না লাগলেও ভালো লাগাতে হয় । মুখের মাঝে একটা হাসির সাইন বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতে হয় ।
দেশের নামকরা সব মডেল আর ফ্যাশন ডিজাইনারদের মেলা বসেছে আজ এখানে ।
চারদিকে আলোর ঝলকানি ।
মেয়েরা সব শরীর দেখানোয় ব্যস্ত । অবশ্য আজকাল ছেলেরাও পিছিয়ে নেই ।
বেশিরভাগ ছেলে মডেল রাও তাদের সু গঠিত বুক আর পেশি দেখানোয় পারদর্শী ।
কিছু কিছু ছেলে মডেল এমন টাইট ফিট টি শার্ট পড়েছে যে টি শার্ট ভেদ করে ওদের বুকের মটর দানার মত নিপল বুঝা যাচ্ছে ।
এ যেন শরীর দেখানোর প্রতিযোগিতা !
অবশ্য ওদের দোষ দিয়ে কি লাভ ! শরীর দিয়েই ওদের কাজ ।
একটা কফি নিয়ে বসে আছি টেবিলের এক কোনায় ।
শুভর কথা খুব মনে পড়ছে ।
ও একা একা এখন কি করছে কে জানে ।

এমন সময় পাশে মাহিন এসে বসল ।
হাই । আমি মাহিন । আপনি ?
আমি হেসে বললাম, আমি জানি আপনাকে । আমি দিব্য । কাজ করছি ফ্যাশন রিপোর্টার এন্ড মডেল কো অরডিনেটর হিসেবে ।
হুম । দেটস গুড । ভাইয়া আপনাকে দেখলাম আলিফ ভাইয়ার গাড়িতে আসতে । আপনারা দুজন কি খুব ভালো বন্ধু নাকি ?
আরে না । ঠিক সেরকম কিছু নয় । আলিফ ভাইয়া আমাকে ছোট ভাইয়ার মত দেখেন । আমি হেসে বললাম ।
প্রথমে সবাই ছোট ভাইয়াই থাকে । মাহিন একটু তাচ্ছিলের স্বরে বলল ।
আমি না শোনার ভান করে বললাম, কিছু বললেন ?
না না । কিছু না । মাহিন বলল । তা আপনি মডেলিং করেন না কেন ? আপনার হাইট আর বডি যে কারো মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ।
আমি হা হা হা করে হেসে বললাম, কি যে বলেন ভাই । ওসব আমায় দিয়ে হবে না ।
দিব্য ভাইয়া আপনি যতই না বলুন । এটা মানতেই হবে আপনি অনেক হ্যান্ড সাম ।
আমি মনে মনে বললাম, এই যা । তেল মারা শুরু হয়ে গেছে । অবশ্য ওরা তেল মারায় দারুন ওস্তাদ ।
আমি কথা ঘুরানোর জন্য বললাম, তা এখন কিসের কাজ করছ মাহিন ।
আর বইলেন না ভাই । সময়টা ভালো যাচ্ছে না । নেক্সট মান্থ একটা এড করার কথা আছে ।
কিসের এড ?
ঐ একটা সেভিং ফোম এর । ভাই আপনিত সবই জানেন । মিডিয়াতে কাজ করতে হলে কত কি করতে হয় ।
আমি মাথা নাড়লাম । বললাম, হুম । ঠিক বলেছ ।
মাঝে মাঝে মনে হয় মডেলিং করা ছেড়ে দিব । মাহিন এর গলা ভার হয়ে আসে ।
কেন ? কেন ? এটা কেন মনে হল ?
নিজের শরীরের প্রতি ঘেন্না চলে আসে ভাই । আমাদের সবাই ইউজ করে । প্রোডিউসার, ডিজাইনার, পরিচালক সবাই সবাই । মাহিন মাটির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে যায় ।
আমি মাহিনের কাঁধে হাত রাখি । বলি, মন খারাপ কর না মাহিন । দেখ ! তুমি যখন এখানে কাজ করতে এসেছিলে তখন কিন্তু সব জেনে বুঝে শুনেই এখানে ঝাঁপ দিয়েছিলে । এখন পেছন ফেরার সময় নয় । সামনে এগিয়ে যাও ।
মাহিন মুখ তুলে আমার দিকে তাকায় । ওর মুখ জুড়ে শুকনো হাসি ।
মাহিন আমার হাত ধরে বলে থ্যাংকস ভাই । আমার কার্ডটা রাখেন । যদি কোন মডেল দরকার হয় আমায় কষ্ট করে জানাবেন ।
আমি ওর হাত থেকে কার্ড নিয়ে দেখলাম । বললাম, শিওর । কেন নয় ?
মাহিন এবার চেয়ার থেকে উঠে । আমার দিকে মুখ করে বলে, ভাইয়া । ছোট হয়ে একটা কথা বলি ? শুনবেন ?
হুম । বল !
দিব্য ভাইয়া । আলিফ ভাইয়া মানুষটা খুব বেশি সুবিধার না । একটু সাবধানে থাকবেন । উনার কারণে আমার লাইফটা নষ্ট হয়ে গেল ।
আমি বুঝেও না বুঝার ভান করে বললাম , হুম । ওকে । থ্যাংকস ফর ইউর এডভাইস মাহিন ।

মাহিন চলে যেতেই আলিফ ভাইয়া হাজির ।
হেই দিব্য । এখানে বসে কি করছ ? ঐ বলদটার সাথে এতক্ষন কি আলাপ করলে ?
ভাইয়া আমার এতো গেদারিং ভালো লাগে না । তাই এখানে বসে আছি । আর মাহিন কে বলদ বলছেন যে ?
আলিফ ভাইয়া আমার ডান পাশের চেয়ারে বসে মুচকি হাসলেন ।
দেখ দিব্য ! কেন বলদ বলেছি সেটা তুমি খুব ভালো করেই জানো । ওরা কাজ পাওয়ার জন্য এমন কিছু নাই যে করতে পারে না ।
কিন্তু আলিফ ভাই, ওদেরকে দিয়ে যারা কাজগুলো করিয়ে নেয় তারা কি ধোয়া তুলসি পাতা !
দিব্য এখন এই তর্ক থাক । চল ডিনার সেরে নিই । সবাই খাওয়া শুরু করবে কিছুক্ষনের মধ্যেই ।
ভাইয়া, আমি কিছু খাব না । আমার খিদে নেই । আর বাসায় মা অপেক্ষা করবে আমার জন্য ।
তোমরা পারও । সেই মধ্যযুগীয় ধারনা নিয়ে বসে থাক । সো ফানি ।
আমি আলিফ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কফির মগে চুমুক দিলাম ।
আলিফ ভাইয়া উঠে চলে গেল ।
কফিটা শেষ করে হল রুম থেকে বেড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালাম ।
এপাশটাতে তেমন কেউ নেই ।
কেমন একটা আলো আধারির খেলা চারপাশ জুড়ে ।
সেল ফোন বের করে শুভকে ফোন দিলাম ।
হ্যালো , ফোন দিতেই ধরে ফেললে যে !
আমিতো আমার শ্যামের অপেক্ষাতেই থাকি । তাই । শুভ হা হা করে হাসল । পার্টি কেমন হচ্ছে ?
ঐ যেমন হয়! ন্যাকামি আর ঢলাঢলি । আমি সিগারেট এর ছাই ফেলে বললাম ।
তোমার কজন মডেল জুটল নতুন ?
কেন ? সতীনের সংখ্যা বেশি হলে কি তোমার ভালো লাগবে ?
না ! ঠিক তা নয় !
তাহলে সেটা জানতে চাইলে কেন ?
ওকে বাবা । আমার ভুল হইসে ।
ঠিক আছে । কানে ধর ।
হুম ধরলাম । শুভ ঐ পাশ থেকে হাসতে হাসতে বলল ।
এই বেটা ডাক্তার ! তুই এক কানে ধরলি কেন ? দুই কানে ধর!
ও গড ! তুমি বুঝলে কেমনে আমি এক কানে কানে ধরছি ? শুভ অবাক করা গলায় বলল ।
আরে হাঁদা বাবা । তুমিত এক হাতে মোবাইল ধরে আছ । তাই আরেকটা কান কেমন করে ধরবে ? হা হা হা ।
শুভও হাসতে হাসতে লাগল ।
তুমি একটা বিটল জাতের প্রাণী । শুভ আমাকে বলল ।
এটা কি কবিরাজ মশাই ?
এটা হল যারা বেশি দুষ্টু হয় তারা এমন হয় । বিতলা থেকে বিটল জাতের প্রাণী ।
ওরে বাবা । তুমি দেখি অনেক কিছু জানো । আসো তোমারে চুমা খাই ।
তোমার ঐ সিগারেট খাওয়া ঠোঁটে চুমু দিব না ।
ও বুঝছি । অন্য জায়গায় দিবা ! আমি হাসতে হাসতে বললাম ।
এখন কিন্তু সত্যি খুন করব তোমায় ! শুভ কপট রাগ দেখিয়ে আমায় বলে ।
এই কে কোথায় আছ ? আমাকে বাঁচাও । আমাকে কসাই ডাক্তার নাকি খুন করবে ?
ডাকো ডাকো ! তোমার আলিফ ভাইয়াকে ডাক । দেখ বাঁচাতে আসে কি না ! শুভ ওপাশ থেকে বলল ।
আর বোল না । সেতো এটার জন্য তিন পায়ে খাড়া ।
মানে কি?
মানে হল । আজ পার্টিতে আসার সময় সে গাড়ি ড্রাইভ করার সময় সে আমাকে গান শুনায়, চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে ..................
ও বাবা । বল কি ? এই যে শুন আমার জিনিসপত্রে যেন সে হাত না দেয় । বুঝলে ? শুভ ধরা গলায় বলে উঠে ।
কেন ভাইয়া ! হাত দিলে কি করবে ? আমি মুচকি হেসে বললাম ।
যদি হাত দেয় আগে তোকে খুন করুম । তারপর ঐ বেটারে খুন করুম ।
আমায় এতো ভালবাস কেন ? জান ।
জানি না ।
এই বোকা ! কাঁদছ নাকি ? আমি শুভকে বললাম ।
শুভ চুপ । কথা বলে না কোন ।
আমি জানি শুভ এখন কাঁদছে । ও অনেক ইমোশনাল ।
আমি আস্তে করে বললাম, সোনা মনি । আমি তোমায় অনেক ভালা পাই ।
শুভ ওপাশ থেকে হেসে উঠল । বলল, আমিও ।
এমন সময় পেছন থেকে কেউ একজন আমার কাঁধে হাত রাখল ।
আমি আঁতকে উঠলাম ।
ফিরে তাকিয়ে যাকে দেখলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না ।.............(চলবে)

1 মন্তব্য(গুলি):

  1. যারা বারবার টাকা দিয়ে ধোকা খাছেন ।আমাকে শেষবার বিসসার করেন ঠকবেনা।01763852350 Audio sex 500 taka imo sex 1000 taka ”reall sex 5000 taka”””””””””””””””””””””””””””””” Hello প্রবাসী বন্দুরা, আমি প্রবাসীদের সাথে সেক্স করি। আমি দেশের কল রিসিফ করি ; তাই কল দিবে”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””” IMO Sex / Video call sex—1000টাকা Phone call /Audio call Sex- 500টাকা” টাকা বিকাশ “” bkash”” এর””মাধ্যমে”””পাঠাতে” হবে।””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””♥01763852350♥নাম্বার ———————- আমার নাম্বার ———————-♥01763852350♥”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””.”””””””””””””‘”‘অামি গরিব পরিবারের মেয়ে লেখা পড়ার জন্য আমার কিছুটাকা প্রয়োজনতাই বাধ্য হয়ে এটা করছি দয়াকরেকেই বাজে কমেন্ট করবেন না সময় সবার এক রকম যাইনা আপনার জীবনেও খারাপসময় আসতে পারে………..”’”‘””’”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””” “”” আমার নাম্বর:——-♥01763852350 bakes number…………… audo sex500 taka……….video sex 1000 taka…!……… reall sex5000 taka…………….bakes number 01763852350…………DBBl………..

    উত্তরমুছুন

Popular Posts

Archive